এইচটিএমএল সিএসএস জাভাস্ক্রিপ্ট পিএইচপি ওয়ার্ডপ্রেস কোরআন
লগইন
×

আলকোরআন

সূরা_ফাতিহা সূরা_বাকারা সূরা_ইমরান সূরা_নিসা সূরা_মায়েদা সূরা_আন’য়াম সূরা_আরাফ সূরা_আনফাল সূরা_তাওবা সূরা_ইউনুস সূরা_হুদ সূরা_ইউসুফ সূরা_রা’দ সূরা_ইবরাহীম সূরা_হিজর সূরা_নাহল সূরা_বনী-ইসরাঈল সূরা_কা’হফ সূরা_মারঈয়াম সূরা_ত্বা-হা সূরা_আম্বিয়া সূরা_হাজ্জ্ব সূরা_মু’মিনুন সূরা_নুর সূরা_ফুরকান সূরা_শু’য়ারা সূরা_নাম’ল সূরা_কাসাস সূরা_আনকাবুত সূরা_রূম সূরা_লুকমান সূরা_সাজদা সূরা_আহযাব সূরা_সা’বা সূরা_ফাতির সূরা_ইয়া-সীন সূরা_সাফফাত সূরা_সা’দ সূরা_যুমার সূরা_মু’মিন সূরা_হা-মীম সূরা_শূরা সূরা_যূখরুফ সূরা_দুখান সূরা_যাসিয়া সূরা_আহক্বাফ সূরা_মুহাম্মাদ সূরা_ফাতাহ সূরা_হুজুরাত সূরা_ক্বাফ সূরা_যারিয়া’ত সূরা_তুর সূরা_নাজম সূরা_ক্বামার সূরা_আর-রহমান সূরা_ওয়াক্বিয়া সূরা_হাদীদ সূরা_মুজাদালাহ সূরা_হাশর সূরা_মুমতাহিনা সূরা_সফ সূরা_জুম’য়া সূরা_মুনাফিক্বুন সূরা_তাগাবুন সূরা_তালাক সূরা_তাহরীম সূরা_মুলক সূরা_কালাম সূরা_হাক্বকাহ সূরা_মা’য়ারিজ সূরা_নূহ সূরা_জ্বীন সূরা_মুযযাম্মিল সূরা_মুদ্দাসসির সূরা_কিয়ামা’ত সূরা_দা’হর সূরা_মুরসালাত সূরা_নাবা সূরা_নাজিয়াত সূরা_আ’বাসা সূরা_তাকভীর সূরা_ইনফিতার সূরা_মুতাফফিফীন সূরা_ইনশিকাক সূরা_বুরূজ সূরা_তারিক সূরা_আ’লা সূরা_গাশিয়াহ সূরা_ফা’জর সূরা_বা’লাদ সূরা_শামস সূরা_লাইল সূরা_দুহা সূরা_আলাম-নাশরাহ সূরা_তীন সূরা_আলাক সূরা_ক্বদর সূরা_বাইয়্যেনাহ সূরা_যিলযাল সূরা_আদিয়্যাত সূরা_ক্বারিয়া সূরা_তাকাসুর সূরা_আসর সূরা_হুমাযা সূরা_ফীল সূরা_কুরাইশ সূরা_মাউন সূরা_কাউসার সূরা_কাফিরূন সূরা_ন’সর সূরা_লাহাব সূরা_ইখলাস সূরা_ফালাক সূরা_নাস -->

 

সূরা শু’য়ারা


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

طسم
ত্বা, সীন, মীম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১ )


تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২ )


لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩ )


إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّن السَّمَاء آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ
আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪ )


وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمَنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا عَنْهُ مُعْرِضِينَ
যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫ )


فَقَدْ كَذَّبُوا فَسَيَأْتِيهِمْ أَنبَاء مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُون
অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্ রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬ )


أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الْأَرْضِ كَمْ أَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭ )


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯ )


وَإِذْ نَادَى رَبُّكَ مُوسَى أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও;(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০ )


قَوْمَ فِرْعَوْنَ أَلَا يَتَّقُونَ
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১ )


قَالَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২ )


وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَى هَارُونَ
এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩ )


وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪ )


قَالَ كَلَّا فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ
আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫ )


فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬ )


أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলক ে আমাদের সাথে যেতে দাও।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭ )


قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮ )


وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ الْكَافِرِينَ
তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯ )


قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ
মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০ )


فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكْمًا وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُرْسَلِينَ
অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১ )


وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ
আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলক ে গোলাম বানিয়ে রেখেছ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২ )


قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ
ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৩ )


قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا إن كُنتُم مُّوقِنِينَ
মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৪ )


قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ أَلَا تَسْتَمِعُونَ
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৫ )


قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৬ )


قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৭ )


قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৮ )


قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ
ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২৯ )


قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُّبِينٍ
মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩০ )


قَالَ فَأْتِ بِهِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩১ )


فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُّبِينٌ
অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩২ )


وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاء لِلنَّاظِرِينَ
আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৩ )


قَالَ لِلْمَلَإِ حَوْلَهُ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৪ )


يُرِيدُ أَن يُخْرِجَكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ
সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৫ )


قَالُوا أَرْجِهِ وَأَخَاهُ وَابْعَثْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৬ )


يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ
তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৭ )


فَجُمِعَ السَّحَرَةُ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৮ )


وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنتُم مُّجْتَمِعُونَ
এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৩৯ )


لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِن كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪০ )


فَلَمَّا جَاء السَّحَرَةُ قَالُوا لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِن كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ
যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪১ )


قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَّمِنَ الْمُقَرَّبِينَ
ফেরাউন বলল, হঁ্যা এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪২ )


قَالَ لَهُم مُّوسَى أَلْقُوا مَا أَنتُم مُّلْقُونَ
মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৩ )


فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ
অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৪ )


فَأَلْقَى مُوسَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৫ )


فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ
তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৬ )


قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৭ )


رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ
যিনি মূসা ও হারুনের রব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৮ )


قَالَ آمَنتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ
ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৪৯ )


قَالُوا لَا ضَيْرَ إِنَّا إِلَى رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫০ )


إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَن كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্য ুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫১ )


وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِي إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫২ )


فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল,(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৩ )


إِنَّ هَؤُلَاء لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ
নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৪ )


وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَائِظُونَ
এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৫ )


وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَاذِرُونَ
এবং আমরা সবাই সদা শংকিত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৬ )


فَأَخْرَجْنَاهُم مِّن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৭ )


وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৮ )


كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলক ে করে দিলাম এসবের মালিক।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৫৯ )


فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ
অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬০ )


فَلَمَّا تَرَاءى الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَابُ مُوسَى إِنَّا لَمُدْرَكُونَ
যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬১ )


قَالَ كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬২ )


فَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنِ اضْرِب بِّعَصَاكَ الْبَحْرَ فَانفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ
অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৩ )


وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ الْآخَرِينَ
আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৪ )


وَأَنجَيْنَا مُوسَى وَمَن مَّعَهُ أَجْمَعِينَ
এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৫ )


ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৬ )


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৭ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৮ )


وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ إِبْرَاهِيمَ
আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৬৯ )


إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا تَعْبُدُونَ
যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭০ )


قَالُوا نَعْبُدُ أَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عَاكِفِينَ
তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭১ )


قَالَ هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ
ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭২ )


أَوْ يَنفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ
অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৩ )


قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءنَا كَذَلِكَ يَفْعَلُونَ
তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৪ )


قَالَ أَفَرَأَيْتُم مَّا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৫ )


أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ
তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৬ )


فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ
বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৭ )


الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৮ )


وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন,(সূরা শু’য়ারা ২৬:৭৯ )


وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮০ )


وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ
যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮১ )


وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্য ুতি মাফ করবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮২ )


رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৩ )


وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৪ )


وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৫ )


وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ
এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৬ )


وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না,(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৭ )


يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৮ )


إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৮৯ )


وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ
জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯০ )


وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِلْغَاوِينَ
এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯১ )


وَقِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯২ )


مِن دُونِ اللَّهِ هَلْ يَنصُرُونَكُمْ أَوْ يَنتَصِرُونَ
আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৩ )


فَكُبْكِبُوا فِيهَا هُمْ وَالْغَاوُونَ
অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৪ )


وَجُنُودُ إِبْلِيسَ أَجْمَعُونَ
এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৫ )


قَالُوا وَهُمْ فِيهَا يَخْتَصِمُونَ
তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৬ )


تَاللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৭ )


إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনক র্তার সমতুল্য গন্য করতাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৮ )


وَمَا أَضَلَّنَا إِلَّا الْمُجْرِمُونَ
আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:৯৯ )


فَمَا لَنَا مِن شَافِعِينَ
অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০০ )


وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ
এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০১ )


فَلَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০২ )


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৩ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৪ )


كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ الْمُرْسَلِينَ
নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৫ )


إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৬ )


إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৭ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৮ )


وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তাই দেবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১০৯ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১০ )


قَالُوا أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْأَرْذَلُونَ
তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১১ )


قَالَ وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১২ )


إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَى رَبِّي لَوْ تَشْعُرُونَ
তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে!(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৩ )


وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ
আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৪ )


إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৫ )


قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا نُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمَرْجُومِينَ
তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৬ )


قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِي كَذَّبُونِ
নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৭ )


فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِي مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৮ )


فَأَنجَيْنَاهُ وَمَن مَّعَهُ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১১৯ )


ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبَاقِينَ
এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২০ )


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২১ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২২ )


كَذَّبَتْ عَادٌ الْمُرْسَلِينَ
আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৩ )


إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৪ )


إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৫ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৬ )


وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৭ )


أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৮ )


وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১২৯ )


وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ
যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩০ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩১ )


وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩২ )


أَمَدَّكُم بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ
তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তা ন,(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৩ )


وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
এবং উদ্যান ও ঝরণা।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৪ )


إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৫ )


قَالُوا سَوَاء عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ الْوَاعِظِينَ
তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৬ )


إِنْ هَذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ
এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৭ )


وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৮ )


فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَاهُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৩৯ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪০ )


كَذَّبَتْ ثَمُودُ الْمُرْسَلِينَ
সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪১ )


إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَالِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪২ )


إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৩ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৪ )


وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তাই দেবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৫ )


أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ
তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৬ )


فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৭ )


وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ
শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে ?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৮ )


وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ
তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৪৯ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫০ )


وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ
এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না;(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫১ )


الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ
যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না;(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫২ )


قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৩ )


مَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِآيَةٍ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৪ )


قَالَ هَذِهِ نَاقَةٌ لَّهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৫ )


وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ
তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৬ )


فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا نَادِمِينَ
তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৭ )


فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৮ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৫৯ )


كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ
লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬০ )


إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬১ )


إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬২ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৩ )


وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তা দেবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৪ )


أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৫ )


وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৬ )


قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ
তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৭ )


قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِينَ
লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৮ )


رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৬৯ )


فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭০ )


إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭১ )


ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭২ )


وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا فَسَاء مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্ শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৩ )


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৪ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৫ )


كَذَّبَ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ الْمُرْسَلِينَ
বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৬ )


إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন শো'আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৭ )


إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৮ )


فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৭৯ )


وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনক র্তাই দেবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮০ )


أَوْفُوا الْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُخْسِرِينَ
মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮১ )


وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ
সোজা দাঁড়ি-পাল্ লায় ওজন কর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮২ )


وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَاءهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৩ )


وَاتَّقُوا الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالْجِبِلَّةَ الْأَوَّلِينَ
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদ ায়কে সৃষ্টি করেছেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৪ )


قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৫ )


وَمَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৬ )


فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ السَّمَاء إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৭ )


قَالَ رَبِّي أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
শো'আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৮ )


فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ إِنَّهُ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৮৯ )


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯০ )


وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯১ )


وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহান ের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯২ )


نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৩ )


عَلَى قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنذِرِينَ
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৪ )


بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُّبِينٍ
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৫ )


وَإِنَّهُ لَفِي زُبُرِ الْأَوَّلِينَ
নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৬ )


أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ آيَةً أَن يَعْلَمَهُ عُلَمَاء بَنِي إِسْرَائِيلَ
তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলে র আলেমগণ এটা অবগত আছে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৭ )


وَلَوْ نَزَّلْنَاهُ عَلَى بَعْضِ الْأَعْجَمِينَ
যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম,(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৮ )


فَقَرَأَهُ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا بِهِ مُؤْمِنِينَ
অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:১৯৯ )


كَذَلِكَ سَلَكْنَاهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০০ )


لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০১ )


فَيَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০২ )


فَيَقُولُوا هَلْ نَحْنُ مُنظَرُونَ
তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৩ )


أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৪ )


أَفَرَأَيْتَ إِن مَّتَّعْنَاهُمْ سِنِينَ
আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই,(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৫ )


ثُمَّ جَاءهُم مَّا كَانُوا يُوعَدُونَ
অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৬ )


مَا أَغْنَى عَنْهُم مَّا كَانُوا يُمَتَّعُونَ
তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৭ )


وَمَا أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৮ )


ذِكْرَى وَمَا كُنَّا ظَالِمِينَ
স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২০৯ )


وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ
এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১০ )


وَمَا يَنبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থ?ও রাখে না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১১ )


إِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُولُونَ
তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১২ )


فَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ فَتَكُونَ مِنَ الْمُعَذَّبِينَ
অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৩ )


وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৪ )


وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৫ )


فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৬ )


وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর,(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৭ )


الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন,(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৮ )


وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২১৯ )


إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২০ )


هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَن تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ
আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২১ )


تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২২ )


يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২৩ )


وَالشُّعَرَاء يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ
বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২৪ )


أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২৫ )


وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২৬ )


إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيراً وَانتَصَرُوا مِن بَعْدِ مَا ظُلِمُوا وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।(সূরা শু’য়ারা ২৬:২২৭ )